Samsung Galaxy S21 FE Review – যেনে নিন খুঁটিনাটি সব বিষয়

Samsung Galaxy S21 FE Review - যেনে নিন খুঁটিনাটি সব বিষয়
128 GB/ 256 GB
6 GB/ 8GB GB
12+8+12 MP
32 MP
6.4” 1080×2340 p
Li-Lon 4500 mAh

Galaxy S21 FE (ফ্যান এডিশন) মূলত ২০২১ সালের আগস্টে লঞ্চ করার কথা ছিল। তবে চিপ সংকট এবং যন্ত্রাংশের প্রাপ্যতার কারণে লঞ্চটি প্রথমে অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে যায়।

পরে ফোনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ জানুয়ারি, ২০২২-এ ঘোষণা করা হয় এবং ১১ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে এটি বিক্রয়ের জন্য মার্কেটে আসে।

এই স্মার্টফোনটি ব্যবহারকারীদের জন্য ফ্ল্যাগশিপ বৈশিষ্ট্য সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি স্যামসাং-এর এমন একটি মডেল, যা উন্নত ফিচার এবং অসাধারণ পারফরম্যান্সের সাথে এখনো অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং চাহিদাপূর্ণ একটি ডিভাইস।

এর আকার 6.13 x 2.93 x 0.31 ইঞ্চি এবং ওজনে 177 গ্রাম যা ফোন টিকে কম্প্যাক্ট বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। আর ওজনে হালকা হওয়ায় সহজে তা ক্যারি করা যায়। সামনে Gorilla Glass Victus, aluminum ফ্রেম এবং প্লাস্টিক ব্যাক প্যানেল মোবাইলটিকে যথেষ্ট টেকসই করেছে। তাছাড়া এর IP68 রেটিং যা পানি ও ধুলো হতে সুরক্ষিত থাকে।

Galaxy S21 FE 5G স্মার্টফোনের ডিসপ্লে 6.4-inch AMOLED, স্ক্রিন Full HD+ রেজোলিউশন। এবং রিফ্রেশ রেট 120 HZ। এর চিপসেট Qualcomm Snapdragon 888(5 nm) এবং GPU Adreno 660, যার কারণে ডিভাইসটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং উন্নত গ্রাফিক্সের নিশ্চয়তা দেয়।

Galaxy S21 FE 5G ডিভাইসটিতে রয়েছে শক্তিশালী ট্রিপল ক্যামেরা সেট আপ। এতে রয়েছে 12-মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা, 12-মেগাপিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং 8-মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা । তাছাড়া ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে 32MPরেজোলিউশনের। যা ভিডিও কল ও সেলফির জন্য অসাধারণ ভিডিও ও ছবি নিশ্চয়তা প্রদান করে।

এতে রয়েছে 4,500mAh ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারী। এই ডিভাইসটি 25W এর ফাস্ট চার্জিং এবং 15W এর ওয়ারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে। সাথে রয়েছে রিভার্স চার্জিং এর ব্যবস্থাপনা। তাছাড়া রয়েছে AI ফিচার, যা ছবি, ভিডিও ও অডিও কলে বিশেষ গুরুত্ব রাখে এবং অন্যান্য ফিচারস সহজ করে দেয়। এর শক্তিশালী সিকিউরিটি সিস্টেম রয়েছে যা গুরুত্বপূর্ণ ডাটার নিরাপত্তা দেয়।

সুতরাং বলা যায়, Samsung Galaxy S21FE স্মার্টফোন মোবাইল প্রেমীদের কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কম্প্যাক্ট ডিজাইন, শক্তিশালী প্রসেসর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারী ব্যাক, উন্নত গ্রাফিক্স ক্ষমতা এই স্মার্টফোনের বাজারে একটি অসাধারণ ফোন।

সুবিধা

  • শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন 888 প্রসেসর
  • ডিসপ্লে খুব উজ্জ্বল, রঙ গুলো স্পষ্ট ও জীবন্ত
  • নাইট মোডে ছবিগুলো উজ্জ্বল ও ডিটেইলড হয়।
  • ক্যামেরা গুলো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়।
  • Android 12 অপারেটিং সিস্টেম প্রি-ইনস্টলড থাকে।

অসুবিধা

  • আগের থেকে কম রেজোলিউশন টেলিফটো লেন্স
  • আগের থেকে এর থেকে কম RAM
  • 120Hz রিফ্রেশ রেট কম বেশি হয় না
  • ব্যাটারি লাইফ হতাশাজনক
  • চার্জার এবং মাইক্রোএসডি স্লট নেই।

Samsung Galaxy S21 FE 5G স্মার্টফোন হলো Galaxy S21 সিরিজের অংশ যা ছিল নতুন ফ্ল্যাগশিপ লাইনআপ। এই ডিভাইস টি জনপ্রিয় ফিচার, চোখ ধাঁধানো ডিজাইন, শক্তিশালী পারফোরম্যান্স, উন্নত ক্যামেরা এবং ভালো কানেক্টিভিটির সমন্বয়ে তৈরি। মূল্য, ডিজাইন এবং পারফোরম্যান্সের ভারসাম্য বজায় থাকায় এটি অনেককে আকৃষ্ট করে।

পারফরমেন্স

Samsung Galaxy S21 FE 5G স্মার্টফোনে আন্তর্জাতিক সংস্করণে  Snapdragon 888 চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে, যা খুব শক্তিশালী পারফোরম্যান্স এবং দ্রুত কাজের নিশ্চয়তা দেয়। তবে, কিছু নির্দিষ্ট মডেলে যেমন অস্ট্রোলিয়ার আর অস্ট্রোলিয়ার ফোনগুলোতে সামসাং নিজেরদের  Exynos 2100 চিপসেট ব্যবহার করেছে। Galaxy S21 FE এবং S20 FE-এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য চিপসেটে এসেছে। S21 FE-তে Snapdragon 888 চিপসেট ব্যবহার করা হলেও S20 FE 5G মডেলে ছিল Snapdragon 865 চিপসেট এবং কিছু নির্দিষ্ট 4G মডেলে Exynos 990 চিপ। তাই এটা বলা যায় যে পারফোরম্যান্সে আগের মডেল থেকে এই মডেল এগিয়ে আছে। 

Snapdragon 888 চিপসেট যদিও Snapdragon 8 Gen1 চিপসেট দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, তারপরেও Snapdragon 888 বাজারের শীর্ষস্থানীয় চিপসেটের মধ্যে অন্যতম সেরা এবং সাধারণ ইউজাদের জন্য এটা যথেষ্ট  ভালো এবং উন্নত। 

এই ডিভাইসে ব্যবহৃত চিপসেট উন্নত 5nm প্রযুক্তিতে তৈরি যা অক্টা কোর প্রসেসরে চালিত। এই প্রসেসর 1+3+4 কনফিগারেশনে কাজ করে। 

  • প্রধান কোরটি 2.84 GHz Kryo 680 Prime (Cortex-X1) এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা দ্রুত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
  •  3টি 2.42 GHz Kryo 680 Gold (Cortex-A78), যা ভারী কাজ করতে সাহায্য করে, এবং 
  • 4টি 1.8 GHz Kryo 680 Silver (Cortex-A55), যা হালকা কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। 

Samsung Galaxy S21 FE 5G এর গ্রাফিক্সের জন্য Adreno 660 GPU রয়েছে, যা গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারে উন্নত অভিজ্ঞতা দেয়। যেখানে আগের S20 FE এর Adreno 650 ব্যবহার করা হয়েছে।   

Galaxy S21 FE 5G- স্মার্টফোন শুরুতে Android 12-এর সাথে Samsung-এর নিজস্ব One UI 4 ইন্টারফেসে চালিত ছিলো, পরে সেটা অবশ্য Android 14 ভিত্তিক One UI 6.1-এ আপডেট করা হয়েছে। ভবিষ্যতে Android 16 পর্যন্ত আপডেট পাবে, কারণ সামসাং এর ৫ বছর পর্যন্ত আপডেটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।  

অন্যদিকে S20 FE Android 10 শুরুতে ছিলো এবং সর্বশেষে Android 13 ভিত্তিক One UI 5.1 আপডেট পায়। কিন্তু এটা আর নতুন কোন আপডেট পাবে না। 

যদিও Galaxy S20 FE এখনও কার্যক্ষম এবং জনপ্রিয়, এটি সফটওয়্যার আপডেটের সীমাবদ্ধতার কারণে ভবিষ্যতে কিছু নতুন ফিচার এবং নিরাপত্তা আপডেট পাবে না।

ডিজাইন

Samsung Galaxy s21 FE 6.4-ইঞ্চির AMOLED  ডিসপ্লে সহ একটি কম্প্যাক্ট মোবাইল, যা তার আগের s21FE থেকে ছোট। অপরদিকে  Galaxy S21 FE আগের S20 FE এর থেকে প্রায় 13 গ্রাম লাইটার। যদিও s21 FE  কে পুরোপুরি কম্প্যাক্ট বৈশিষ্ট্যে ফেলা যায় না, তবে এর আকার ছোট ও ওজনে হালকা হওয়ায় ধরে রেখা ও বহনে সুবিধাজনক। এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে যেন ব্যবহারকারীরা ফ্ল্যাগশিপ ফিচার গুলো পেতে পারেন। 

এই স্মার্টফোন অলিভ, ল্যাভেন্ডার, গ্রাফাইট, এবং সাদা এই  চারটি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যায়। এই রঙগুলো আধুনিক ব্যবহারকারীদের রুচির সঙ্গে বেশ মানানসই।

Galaxy S21 FE আগের চেয়ে অনেক বেজেল স্লিম হয়েছে, যার কারণে প্রিমিয়াম লুক দেয় এটা। যার ফলে ডিসপ্লে আরো বেশি জায়গায় পায় প্রদর্শনের।  এই ডিভাইসের সামনে একটি কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিকটাস রয়েছে, যা স্ক্রিনকে স্ক্যাচ এবং থেকে রক্ষা করে। ফ্রেমটি অ্যালুমিনিয়াম যা মজবুত এবং স্টাইলিশ এবং এবং পিছনে একটি ম্যাট ফিনিশ সহ গ্রিপি প্লাস্টিকের তৈরি যা স্ক্যাচ হতে সুরক্ষা এবং হাতে ধরে রাখার জন্য সুবিধা দেয়। S21 FE হল জল এবং ধুলো প্রতিরোধী যার IP68 রেটিং বাকি S21 সিরিজের মতো। যা 1.5 মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ডুবে থাকলেও  জল ও ধুলো থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। 

Galaxy S21 FE 5G-ডিসপ্লের উপরে একটি সাধারণ বৃত্তাকার ছিদ্র রয়েছে, যেখানে 32MP সেলফি ক্যামেরা বসানো। আগের মডেলের মতোই স্ক্রিনের ওপরে মাঝখানে হোল-পাঞ্চ সেলফি ক্যামেরা রয়েছে, এবং উভয়ের ডিসপ্লেই সমতল।এর স্ক্রীনটি আগের থেকে উন্নত, এবং HDR10+ সাপোর্টসহ আসে, যা S20 FE-এ ছিল না। এর ডিসপ্লে আগের S20 FE থেকে একটু ছোট, 6.4 ইঞ্চি সাইজের। ডিসপ্লের উপরে একটি সাধারণ বৃত্তাকার ছিদ্র রয়েছে, যেখানে 32MP সেলফি ক্যামেরা বসানো। এর স্ক্রীনটি আগের থেকে উন্নত, এবং HDR10+ সাপোর্টসহ আসে, যা S20 FE-এ ছিল না।

এই ফোনের উপরের দিকে কোনও গ্রিল নেই, শুধু একটি পাতলা আউটলেট রয়েছে, যা শব্দের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেলফি ক্যামেরার পাশে ডিসপ্লে নিচে একটি স্পিকার রয়েছে, যা ইয়ারপিস হিসেবেও কাজ করে। Galaxy S21 FE-তে স্টেরিও স্পিকার রয়েছে, একটি উপরের অংশে এবং অন্যটি নিচে, USB পোর্টের পাশে।

এছাড়া, আন্ডার-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার রয়েছে, যা দেখতে একদম পরিষ্কার। এটি গুডিক্স অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করে। 

এর পিছনে ট্রিপল ক্যামেরা রয়েছে যার রিয়ার ক্যামেরা ডিজাইনটি “কন্ট্যুর কাট” শৈলীতে তৈরি।  যেখানে  S20 FE থেকে একটি বড় পরিবর্তন।

এই ক্যামেরা লেন্সগুলিকে পিছনের প্যানেলের সঙ্গে মসৃণভাবে যুক্ত করা। S21 FE-এর ম্যাট ফিনিশ এবং সিমলেস ডিজাইন ডিভাইস টি ধরে রাখতে আরও সহায়ক এবং আরামদায়ক করে তোলে। এর ক্যামেরা ডিজাইন মূল S21 সিরিজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ডিসপ্লে

Samsung Galaxy S21 FE-তে 6.4-ইঞ্চি স্ক্রিন রয়েছে, যা Galaxy S20 FE-এর 6.5-ইঞ্চি স্ক্রিনের তুলনায় সামান্য ছোট। তবে উভয় ফোনেই 120Hz রিফ্রেশ রেট সহ রঙিন ও স্পষ্ট Dynamic AMOLED ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এর রেজোলিউশন 1080 x 2400 পিক্সেল (411ppi), 120Hz রিফ্রেশ রেট এবং Always-On Display সাপোর্ট করে। গেম খেলার সময় টাচ রেসপন্স রেট 240Hz পর্যন্ত হয়।

Galaxy S21 FE-তে একটি বড় উন্নতি হলো এটি Gorilla Glass Victus দিয়ে তৈরি, যা স্ক্রিনকে বেশি সুরক্ষা দেয়। অন্যদিকে, S20 FE-তে পুরনো Gorilla Glass 3 ব্যবহার করা হয়েছে। এই ডিসপ্লেতে HDR10+ সাপোর্ট এবং 1200 নিট উজ্জ্বলতা রয়েছে, যা HD এবং HDR10 কন্টেন্ট দেখার অভিজ্ঞতা উন্নত করে। উজ্জ্বলতার দিক দিয়ে আগের S20 FE থেকে অনেক বেশি, যেখানে তার উজ্জ্বলতা 800 নিট ছিলো। 

উজ্জ্বলতায় আরো উন্নতি করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় মোডে এটি 792 নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতা দিতে পারে, যা S21-এর 856 নিটের কাছাকাছি। ম্যানুয়ালি সামঞ্জস্য করলে সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা 385 নিটে থাকে, তবে সতর্কতার সাথে সামঞ্জস্য করলে এটি 792 নিট পর্যন্ত পৌঁছায়। ন্যূনতম উজ্জ্বলতা মাত্র 1.8 নিট, যা চোখের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা দেয়।

হার্ডওয়্যার এবং স্টোরেজ

Samsung Galaxy S21 FE তার শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ও উন্নত স্টোরেজের জন্য বাজারের সেরা স্মার্টফোনের একটি হিসেবে বিবেচিত হয়।

Galaxy S21 FE দুটি চিপসেট অপশন নিয়ে আসে। Qualcomm Snapdragon 888 যা USA ভার্সনে এবং Exynos 2100 যা ইন্টারন্যাশনাল ভার্সনে ব্যবহৃত হয়। উভয় চিপসেটই শক্তিশালী কর্মদক্ষতা এবং চমৎকার গেমিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে। Exynos ভার্সনে Mali-G78 MP14 GPU এবং Snapdragon ভার্সনে Adreno 660 GPU রয়েছে, যা উন্নত গ্রাফিক্স এবং মসৃণ ভিজ্যুয়াল পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।

এই স্মার্ট ফোনের ৩টি ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে । এই গুলো হলোঃ 

  • 6GB RAM + 128GB স্টোরেজ,
  • 8GB RAM + 128GB স্টোরেজ এবং 
  • 8GB RAM + 256GB স্টোরেজ। 

এই ডিভাইসটিতে অত্যাধুনিক LPDDR5 RAM এবং UFS 3.1 স্টোরেজ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যা দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার এবং মসৃণতা নিশ্চিত করে। তবে এই মডেলে মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট নেই, যা Galaxy S20 FE-এর একটি জনপ্রিয় ফিচার ছিল।

ক্যামেরা

Samsung Galaxy S21 FE এর ক্যামেরাগুলি আগের প্রজন্ম Galaxy S20 FE থেকে খুব বেশি পরিবর্তন করা হয়নি। এতে রয়েছে ট্রাই ক্যামেরা সেট আপ যেখানে 12MP প্রধান ক্যামেরা, 12MP আল্ট্রাওয়াইড লেন্স,  8MP টেলিফটো লেন্স, যা 30x স্পেস জুম করার ক্ষমতা রাখে। এমনকি ক্যামেরার অ্যাপারচারগুলিও S20 FE থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে। এর  সামনের ক্যামেরাটি একটি 32MP কোয়াড-বেয়ার শ্যুটার। যদিও Galaxy S21 FE-এর ক্যামেরা Galaxy S20 FE-এর মতোই, তবে এতে কিছু পার্থক্য রয়েছে যা চিপসেট মডেলের উপর নির্ভর করে। Snapdragon 888 সংস্করণে Sony IMX555 সেন্সর এবং Exynos সংস্করণে Samsung S5K2LD সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। উভয় সেন্সরই 12MP ক্যামেরার জন্য কাজ করে এবং এতে রয়েছে 1.8µm পিক্সেল, ডুয়াল-পিক্সেল অটোফোকাস (AF), এবং f/1.8 অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (OIS) সহ 26mm লেন্স।

আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, কারণ এতে Sony IMX258 বা Hynix Hi1336 সেন্সর ব্যবহৃত হয়। উভয়েরই 13mm f/2.2 লেন্স এবং 1.12µm পিক্সেল রয়েছে। তবে যেটিই থাকুক না কেন, এটি সর্বদা 12MP ছবি সংরক্ষণ করে।

জুম ক্যামেরা 8MP যা Hynix Hi847 সেন্সর ব্যবহার করে। এতে 1.0µm পিক্সেল এবং f/2.4 OIS লেন্স রয়েছে, যা 3x অপটিক্যাল জুম প্রদান করে। Galaxy S20 FE-এর মতো, এই ক্যামেরাও 12MP ছবিতে কিছুটা আপস্কেল করে সংরক্ষণ করে।

সেলফি ক্যামেরা হলো 32MP যা Sony IMX616 Quad-Bayer সেন্সর দিয়ে তৈরি। এটি f/2.2 লেন্স এবং ইনফিনিটি ফোকাস সাপোর্টকরে। তবে বেশিরভাগ কোয়াড-বেয়ার ক্যামেরার বিপরীতে, এটি নেটিভ 8MP ছবিও সংরক্ষণ করে।

Galaxy S21 FE-এর ক্যামেরা অ্যাপটি Samsung-এর অন্যান্য ফোনের মতোই। এটি সহজেই নাইট মোড এবং প্রো মোড সাপোর্টকরে। তবে প্রো মোডটি শুধু প্রধান এবং আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরার জন্য কাজ করে, যেখানে ম্যানুয়াল ফোকাস এবং 30 সেকেন্ড পর্যন্ত শাটার স্পিড কন্ট্রোলের সুবিধা রয়েছে।

AI ফিচার

Galaxy S21 FE-এর উন্নত AI প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও স্মার্ট এবং সহজ করে তোলে। আগের Galaxy S20 FE-এর তুলনায় এতে অনেক নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে এবং বিদ্যমান ফিচারগুলো উন্নত করা হয়েছে। ক্যামেরা, ব্যাটারি, সিকিউরিটি, পারফরম্যান্স এবং কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে AI-চালিত সুবিধাগুলো আরও শক্তিশালী হয়েছে।

S21 FE-এর ক্যামেরায় AI Scene Optimizer ব্যবহার করা হয়েছে যা ছবির বিষয়বস্তু শনাক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রঙ, এক্সপোজার এবং শার্পনেস সামঞ্জস্য করে। S20 FE-তে Scene Optimizer ফিচার ছিল, তবে সেটিংস সমন্বয় সীমিত ছিল। S21 FE-তে এই প্রযুক্তি আরও নিখুঁত ও কার্যকর। তাছাড়া এর ক্যামেরায় AI Portrait Mode রয়েছে যা সাবজেক্ট এবং ব্যাকগ্রাউন্ডকে সুন্দরভাবে আলাদা করে, যার ফলে ছবি আরও প্রফেশনাল ও উন্নত দেখায়।

S21 FE-এর AI Noise Reduction এবং Super HDR প্রযুক্তি রাতের ছবির মান উন্নত করে এবং AI Adaptive Battery Management প্রযুক্তি ব্যাটারির ব্যবহার অপ্টিমাইজ করে।  S21 FE-তে AI Performance Optimizer রয়েছে যা CPU ও GPU-কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য করে। এর ফলে মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিং আরও মসৃণ হয়। 

তাছাড়া এই ডিভাইসে  Samsung Knox AI Threat Detection উন্নত হয়েছে, যা সাইবার আক্রমণ থেকে আরও ভালো সুরক্ষা দেয়। S20 FE এ Knox ছিলো কিন্তু তা থ্রেট ডিটেকশনে এতো সবল ছিলো না। 

S21 FE স্মার্টফোনে AI Wi-Fi Optimizer যা রয়েছে যা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগে নির্ভরযোগ্য  এবং Vision Booster AI ডিসপ্লে প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে  যা ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা ও রঙের ভারসাম্য নিশ্চিত করে।কিন্তু AI এর এই ফিচারস এর আগের S20 FE তে অনুপস্থিত।

কানেক্টিভিটি

Samsung Galaxy S21 FE 5G আধুনিক এবং শক্তিশালী ভবিষ্যৎমুখী কানেক্টিভিটি ফিচার দিয়ে সজ্জিত। এর কানেক্টিভিটি ফিচারগুলো পূর্ববর্তী Galaxy S20 FE-এর তুলনায় কিছুটা উন্নত।

Galaxy S21 FE-তে Bluetooth 5.0 রয়েছে, যা Galaxy S20 FE-এর মতোই। তবে এটি স্থিতিশীল কানেকশন এবং স্বল্প শক্তি খরচে ভালো পারফরম্যান্স দেয়। Wi-Fi 6 সাপোর্ট Galaxy S21 FE-তে একটি বড় সুবিধা, যা S20 FE-এর Wi-Fi 5 থেকে দ্রুত ও উন্নত কানেকশন সরবরাহ করে। এছাড়া Galaxy S21 FE-তে USB 2.0 পোর্ট রয়েছে, যা ডেটা ট্রান্সফার ও চার্জিংয়ের জন্য যথেষ্ট কার্যকর হলেও S20 FE-এর সঙ্গে এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই।

Galaxy S21 FE-তে ডুয়াল সিম সাপোর্ট রয়েছে, যেখানে একটি ফিজিক্যাল সিম এবং একটি eSIM ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। 

এর আগের পূর্বসূরী S20 FE স্মার্টফোন  4G ও 5G উভয় ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে Galaxy S21 FE সরাসরি   5G সাপোর্টেড ভেরিয়েন্টে এসেছে, যা এটিকে একটি আধুনিক কানেক্টিভিটি ডিভাইস হিসেবে তুলে ধরে। এই স্মার্টফোন প্রায় সব গ্লোবাল 5G ব্যান্ড সাপোর্ট করে, যা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে দ্রুতগতির ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম।

এছাড়া, Galaxy S21 FE-তে NFC সাপোর্ট রয়েছে, যা Samsung Pay এর মাধ্যমে দ্রুত এবং নিরাপদ কান্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট করতে সাহায্য করে। GPS, A-GPS, GLONASS, Galileo, এবং BDS এর সমন্বয়ে Galaxy S21 FE নির্ভুল লোকেশন ট্র্যাকিং করতে পারে, যা S20 FE-এর মতোই কার্যকর।

সংক্ষেপে, S21 FE কানেক্টিভিটি ফিচারের ক্ষেত্রে S20 FE থেকে কিছুটা আপগ্রেড পেলেও, উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নেই। তবে Wi-Fi 6 এবং eSIM সাপোর্ট এটি ব্যবহারকারীদের জন্য আরো আধুনিক অনুভূতি এনে দেয়।

অডিও ভিডিও

Samsung Galaxy S21 FE মাল্টিমিডিয়া ও অডিও ফিচারে আগের চেয়ে উন্নতি লাভ করেছে।  এর হাইব্রিড স্টেরিও স্পিকারের একটি উপরের দিকে যা ইয়ারপিস হিসেবে শব্দকে সামনের দিকে প্রেরণ করে ।  মিডিয়া প্লেব্যাকের সময় এটি অতিরিক্ত স্পিকার হিসেবে কাজ করে, যা স্টেরিও সাউন্ড তৈরি করে।

অন্যটি নীচের দিকে অবস্থিত  এবং প্রধান স্পিকার হিসেবে কাজ করে, যা বেস এবং ভলিউম বাড়ায়। এই ব্যবস্থায়, দুটি স্পিকার একসাথে কাজ করে উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটি প্রদান করে। এই স্মার্টফোনের অডিওতে ডলবি অ্যাটমস প্রযুক্তি ব্যবহার করে চারপাশে শব্দ প্রদান করা হয়, যা মাল্টিমিডিয়া উপভোগের অভিজ্ঞতা আরো উন্নত করে। এছাড়াও, ডুয়াল অডিও ফাংশনের মাধ্যমে একই সময়ে দুটি ব্লুটুথ ডিভাইস সংযুক্ত করে প্লেব্যাক উপভোগ করা যায়। আগের S20 FE এর মতোই এই  ডিভাইসে  হেডফোন জ্যাকের সিস্টেম নেই,  যা হতাশা জনক। । তাই ওয়্যারলেস ইয়ারবাড বা ইউএসবি-সি অ্যাডাপ্টারের প্রয়োজন হতে পারে। পূর্বের S20 FE এর সাথে খুন অমিল না থাকলেও S21 FE-তে সামান্য উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটি লক্ষ্য করা যায। তাছাড়া  ভিডিও রেকর্ড করার সময় নির্দিষ্ট শব্দের দিকে ফোকাস করতে সাহায্য করে, যা স্পষ্ট অডিও ক্যাপচার নিশ্চিত করে।

 S21 FE 4K 60fps ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম হওয়ায় এটি মাল্টিমিডিয়ার ক্ষেত্রে S20 FE-এর থেকে এগিয়ে। এছাড়া, HDR সমর্থনের কারণে ভিডিওগুলোর রঙ এবং কন্ট্রাস্ট আরও প্রাকৃতিক ও জীবন্ত দেখায়।

S23 FE এর 6.4 ইঞ্চি ডায়নামিক AMOLED 2X ডিসপ্লে HDR10+ সার্টিফিকেশন এবং 1200 নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতা সাপোর্ট করে যা ভিডিওর উজ্জ্বল রঙ এবং কন্ট্রাস্ট এর ভারসাম্য রাখে। যাতে ডিসপ্লে তে ভিডিও ভিজুয়ালাইজেশন দারুন এবং জীবন্ত লাগে। 120HZ  রিফ্রেশ রেট থাকায় ভিডিও প্লেব্যাক স্মুথ ও দ্রুত হয়। এই ডিভাইসটি 4K 60fps ক্যাপাসিটিতে ভিডিও ক্যাপচার এবং প্লে করতে সক্ষম যা খুবই দুর্দান্ত।

সিকিউরিটি

Galaxy S21 FE-তে সংযোজিত সিকিউরিটি ফিচারগুলো ব্যবহারকারীর ডেটা এবং ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। যার কারণের ব্যবহারকারীর সকল গুরুত্বপূর্ন ডেটা নিরাপদ থাকে। Galaxy S20 EF এর চেয়ে Galaxy S21 FE স্মার্টফোনে নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি ব্যবস্থা আপগ্রেড হয়েছে।  

এই ডিভাইসে Samsung Knox সিকিউরিটি সিস্টেম রয়েছে যা আগের S20FE  থেকে বেশ শক্তিশালী। Samsung Knox একটি  Multi-layer security প্লাটফর্ম। এটি সাইবার আক্রমণ, ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়া, Galaxy S21 FE-এর Biometric authentication, যেমন Fingerprint sensor এবং Face unlock system, ডিভাইস আনলক এবং অ্যাপ অ্যাকসেসকে আরও সুরক্ষিত করে তোলে।

এই ডিভাইসে সিকিউর ফোল্ডার ফিচার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা এবং ফাইলকে আলাদাভাবে এনক্রিপ্টেড অবস্থায় সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সম্পূর্ণ নিরাপদে রাখতে পারেন। 

S21 FE ডিভাইসে Android 14-এর সাথে আসা One UI সংস্করণে আরও উন্নত সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি অপশন রয়েছে। এটি ব্যবহারকারীর অনুমতি নিয়ন্ত্রণে আরও শক্তিশালী

তাছাড়া S21FE নতুন প্রজন্মের ডিভাইস হওয়ায় সফটওয়্যার আপডেট এবং সিকিউরিটি প্যাচ পাবে যা S20 FE এর ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে না।

ব্যাটারি এবং চার্জিং

Galaxy S21 FE স্মার্টফোনে রয়েছে  একটি শক্তিশালী Li-Ion 4,500 mAh। যা আগের মডেল S20 FE এর মতই। যাইহোক, যদিও আকৃতিতে এটা ছোট এবং আরও শক্তি-দক্ষ চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে,  ব্যাটারির কর্মক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই উন্নত হওয়ার কথা।  কিন্তু ব্যাপারটা তেমন নয়, ব্যাটারি ও চার্জিং সিস্টেমে উন্নত হলেও এর ব্যাটারির লাইফ টাইম তুলনামূলক কম, যা হতাশার কারণ হতে পারে।  

S21 FE স্মার্টফোনে 25W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। যা দ্বারা আধা ঘণ্টায় 50% চার্জ করা সম্ভব। যেখানে S20 FE স্মার্টফোনে 15W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে এবং তা  আধা ঘন্টায় 35-40% হতে পারে।  সেক্ষেত্রে S21 FE এগিয়ে আছে।

 রিভার্স ও ওয়ারলেস চার্জিং এর ক্ষেত্রে উভয়ে ই 4.5W  এবং 15W  এর চার্জিং সাপোর্ট থাকে।  120Hz রিফ্রেশ রেট চালু থাকলে S21 FE গড়ে 7 ঘণ্টা 46 মিনিট পর্যন্ত চলে। এটি গড় স্মার্টফোনের তুলনায় প্রায় দুই ঘণ্টা কম। অন্যদিকে S20 FE। তবে S20 FE এর বাক্সে চার্জার দেওয়া হলেও S21 FE এর বাক্সে কোন চার্জার দেওয়া থাকে না।

প্রাইসিং

Samsung Galaxy S21 FE 5G স্মার্টফোন বাজারে দেরিতে আসায় অনেকের মধ্যে আগ্রহ ও বিরক্তির মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিলো। তাছাড়া প্রথম দিকে এর মূল্য বেশি  ছিলো। পরে অবশ্য তা সাশ্রয়ী হয়। এখন তা পারফোরম্যান্স এর তুলনায় বেশি বাজেটবান্ধব বলে অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

বাংলাদেশে সর্বশেষ Samsung Galaxy S21 FE 5G এর দাম 36000 টাকা থেকে শুরু হয় ৷ এর মূল্য  স্টোরেজ ও CPU ভেরিয়েন্ট উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট এবং অফার অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। 

যেহেতু এই স্মার্ট ফোনের মূল্য বাড়ে/কমে ,সুতরাং ক্রয় করার আগে বিশস্ত ওয়েবসাইটে এর ফিচার ও মূল্য তালিকা দেখে নেওয়া উচিত।

কিছু ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও, Samsung Galaxy S21 FE যারা প্রাইস এবং পারফরম্যান্সের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজছেন তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় অপশন অফার করে। চলমান সফ্টওয়্যার সাপোর্ট এবং শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য এটিকে স্মার্টফোনের বাজারে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী করে তোলে।

রেকমেন্ডেশন

Samsung Galaxy S21 FE 5G একটি বাজেট-ফ্রেন্ডলি ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস যা আকর্ষণীয় ডিসপ্লে, শক্তিশালী প্রসেসর এবং ভালো ক্যামেরা, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে ভালো কাজ করে।  যারা শক্তিশালী পারফরম্যান্স চান, বিশেষ করে গেমিং, মাল্টিটাস্কিং বা ভারী অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি ডিজাইন করা। আধুনিক ডিজাইন এবং পোর্টেবল আকার এক হাতে ব্যবহার করার জন্যও বেশ উপযুক্ত।  

এটি একটি ভাল মিড-রেঞ্জ ফোন, যারা সাশ্রয়ী মূল্যের একটি মোবাইল খুঁজছেন এটা সেরা অপশন হতে পারে। যদিও ব্যাটারি পারফরম্যান্স এবং তাপমাত্রা নিয়ে ব্যবহারকারীদের কিছু অভিযোগ ছিল। তবে, বর্তমানে কম দামে এটি একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *